১০টি আর্টিকেল লেখার নিয়ম । কিভাবে সেরা আর্টিকেল লিখবো | আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার উপায় ২০২৩
আজকে পোস্টের মাধ্যমে জানাবো কিভাবে একটি সেরা পোষ্ট বা আর্টিকেল লিখতে হয়। আকর্ষণীয় আর্টিকেল লেখার উপায় শিখাব। আপনারা যাতে খুব সহজেই একটি আর্টিকেল লিখতে পারেন পাঠক কে আকৃষ্ট করে আপনার পুরো পোস্ট পড়ার জন্য ধরে রাখতে পারেন। এছাড়াও আজকে আপনাদের কনটেন্ট রাইটিং টিপস জানাবো। আজকে আপনারা এই পোস্টটি পড়ে আর্টিকেল রাইটিং সম্বন্ধে সকল বিষয় জানতে পারবেন চলুন তাহলে শুরু করি।
বাংলা আর্টিকেল কি?
কোন বাংলা ব্লগের ওয়েবসাইটে যদি কোন বাংলা আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করা হয় তাকে বাংলা ব্লগ বা আর্টিকেল বলে।
পাঠকের কাছে আর্টিকেল আকর্ষণীয় করার কৌশল
শিরোনাম বা টাইটেল
শিরোনাম বা টাইটেল পড়েই যেন বোঝা যায় সম্পূর্ণ পোস্টে কি আছে। প্রতি ১০ জন পাঠকের ভিতর ৮ জন পোস্টের টাইটেল পড়ে চলে যায় পোষ্ট না পড়েই। কারণ, হলো পাঠকের কাছে টাইটেল ভালো লাগেনি তাই পোস্টটি পড়েনি। শিরোনাম আকর্ষণীয় না হলে পাঠক না পড়েই চলে যায়।
কি ? কিভাবে ? যেভাবে ? অথবা লিস্ট বেইজড শব্দ ব্যবহার করে যেমন ৫টি ১০টি ইত্যাদি শিরোনামেগুলো রাখা হলে পাঠকরা আকৃষ্ট হয়।
ফিউচার ইমেজ বা থামনেল
প্রত্যেকটি আর্টিকেলে বা পোস্টে প্রাসঙ্গিক ন্যূনতম একটি ফিউচার ইমেজ ব্যবহার করতে হবে। এই ফিউচার ইমেজ বা থামনেল টি পোস্টকে অনেক অর্থবোধক করে তুলে। পাঠকরা শুধু লাইনের পর লাইন পড়তে চায় না তাই প্রাসঙ্গিক ফিউচার ইমেজ ব্যবহার করা জরুরি। তাই পোস্ট রিলেটেড ভিন্ন ভিন্ন ফিউচার ইমেজ ব্যবহার করবেন। টাইটেল ফিউচার ইমেজের টেক্সটে যেন ভিন্নতা থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
আর্টিকেল এর ভূমিকা
একটি পরিপূর্ণ আর্টিকেল লেখার নিয়ম হল আর্টিকেল এর শুরুতে ৪/৫ লাইনের একটি ভূমিকা রাখবেন। যাতে পাঠকরা আপনার শুরুর ভূমিকাটা বা প্যারা পড়ে বোঝতে পারে আপনার পুরো পোস্টের সে কি কি পেতে যাচ্ছে।
কারণ অনেক পাঠক আছে যারা এই ভূমিকার প্যারা পড়ে নিচের প্যারাগুলো পড়তে যায়। সঠিক ইনফরমেশন যদি না পায় তাহলে আপনার পুরো পোস্ট পড়তে তার আগ্রহ জাগবে না। তাই পুরো পোস্টের ইনফরমেশন ভূমিকাতে তুলে ধরুন।
প্যারাগ্রাফ ব্যবহার
ভূমিকার পর থেকে ছোট ছোট প্যারা আকারে লিখতে হবে এবং প্যারাগ্রাফ গুলির শিরোনাম দিবেন হেডিং বা সাবহেডিং ব্যবহার করে। হেডিং বা সাবহেডিং পড়ে যেন পাঠকরা বুঝতে পারে কোন প্যারাতে কি সম্পর্কে লেখা আছে। প্রতিটি প্যারা যেন ৩/৪ লাইন এর বেশি না হয়।যদি কোন প্যারাতে অনেক বেশি ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় সেটি কয়েকটি প্যারাতে ভাগ করে লিখুন।
আর্টিকেল বডি
প্রতিটি পরিপূর্ণ পোস্টে ন্যূনতম ৬/৮ টি প্যারাগ্রাফ শিরোনাম বা সাবহেডিং ব্যবহার করা উচিত এবং প্রতিটি পোস্টে ১২/১৫ টি প্যারা রাখা খুব দরকার। একটি পরিপূর্ণ আর্টিকেলে বা পোস্টে সব মিলিয়ে ১৪০০ বা ২০০০ বা অধিক শব্দ থাকা দরকার।
কোন পোস্টে বৈশিষ্ট্য সুবিধা-অসুবিধা লেখার ক্ষেত্রে প্যারাগ্রাফ আকারে না লিখে লাইন এর পর লাইন বুলেট বা লিস্ট আকারে দিতে হবে।
আর্টিকেল লিংক ইনসার্ট
প্রতিটি আর্টিকেলে বা পোষ্ট এর ভিতর প্রাসঙ্গিক লিংক ইনসার্ট করা। যাতে পাঠকরা আরো বিস্তারিত জানতে পারে।
আর্টিকেলে আমি / আপনি শব্দের ব্যবহার
একটি পরিপূর্ণ পোস্ট বা আর্টিকেল লেখার সময় আমি বা আপনি এই ধরনের শব্দগুলো ব্যবহার করবেন যাতে পাঠকরা মনে করে আপনি তাদের সাথে গল্প করছেন । একটি আকর্ষণীয় আর্টিকেল লেখার সেরা টিপস।
ফোকাস কিওয়ার্ড
আপনার লেখা সম্পূর্ণ আর্টিকেল এর মধ্যে অন্তত একটি এবং সর্বোচ্চ ৩ টি ফোকাস কি ওয়ার্ড নির্বাচন করুন। যেমন আমাদের আজকের এই পোস্টে ফোকাস কিওয়ার্ড হল আর্টিকেল রাইটিং বা Content Writing এই নির্বাচন করা ফোকাস কিওয়ার্ড আপনার পুরো পোস্টের ভিতরে ১০/১৫ বার যেন থাকে।
একটা বিষয় লক্ষ্য করুন কোন কিওয়ার্ড মানুষ Google এ বাংলাতে সার্চ করে আবার ইংলিশে সার্চ করে। তাই আপনার কিওয়ার্ড টিও বাংলাতে আবার ইংরেজিতে দুই ভাবেই রাখুন। যেমন আমাদের আজকের পোষ্টে বাংলায় আর্টিকেল লেখা টি আছে 15 বার আর ইংলিশে লেখা রয়েছে 10 বারের মত।
আরো পড়ুন
ফোকাস কিওয়ার্ড গুরুত্বপূর্ণ কেন ?
আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ফোকাস কিওয়ার্ড গুলো একটি পোস্টের ভিতরে এতবার লিখতে হয় কেন?
মানুষ যখন কোন কিছু লিখে Google সার্চ দেয় তখন Google বাছাই করে দেখে তার সার্চ করা ফোকাস কিওয়ার্ড টি কার ওয়েবসাইটে পোস্টে কত বেশি ব্যবহার করা হয়েছে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড? তখন Google যে ওয়েবসাইটের পোস্টে প্রাসঙ্গিক Keyword পাবে সেটা কে Google এর সার্চ রেজাল্টে শুরুতে দেখাবে।
এমন কেউ যদি আর্টিকেল লেখার উপায় দেখে গুগলের সার্চ করে আমাদের এই পোস্টটি শুরুতে দেখাবে। কারণ হলো মানুষের সার্চ করা কিওয়ার্ড আর আমাদের দেওয়া কিওয়ার্ড মিলে যাওয়াতে গুগোল এর রেজাল্টে শুরুতে দেখাবে। আশাকরি এখন বুঝতে পেরেছেন ফোকাস Keyword কতটা জরুরী একটা আকর্ষণীয় পোস্টের জন্য দেওয়া।
আর্টিকেল অ্যালাইনমেন্ট
প্রতিটি পোস্টের থামনেল বা ছবি গুলো অ্যালাইনমেন্ট এ রাখবেন এবং সকল লেখা গুলো সিলেক্ট করে জাস্টিফাই অ্যালাইনমেন্টে রাখবেন যাতে আপনার পোষ্টের লেখাগুলো বইয়ের লেখার মতো মনে হয়।
কনক্লিউশন
আপনার মূল্যবান আর্টিকেল বা পোস্টটি লেখা শেষে আপনার ব্যক্তিগত মতামত দিয়ে ৪/৫ লাইনেই কনক্লিউশন লেখা উচিত যাতে পাঠকরা আপনার বা লেখকের সম্পর্কে মতামত জানতে পারে। একটি পরিপূর্ণ আর্টিকেল দেখতে কেমন তা জানতে পারে এই পোস্টটি পড়ে।
আর্টিকেল লিখে আয়
আশা করি আজকে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে আর্টিকেল লেখার উপায় বেসিক জানতে পেরেছেন। এখন আর্টিকেল লিখে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর জব করতে চান।আপনি ঘরে বসে প্রতি মাসে ৮০০০ টাকা বেতনে তাহলে Ajkerblog.com ওয়েবসাইটে গিয়ে মেনুবার থেকে “চাকরি করুন ঘরে বসে” ক্লিক করে আবেদন করুন।
আবেদন করার এক সপ্তার ভিতর আমাদের বাংলার সফট আইটি টিম আপনার সাথে যোগাযোগ করবেন যদি আপনি নির্বাচন হন অথবা আপনি জানতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
আরো পড়ুন
বাংলা আর্টিকেল লেখার জব ২০২৩
বোনাস পেতে যা করবেন
আপনি যদি আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্কাইব করে জবের জন্য আবেদন করেন বেতনের সাথে ১০০ টাকা এবং আমাদের ফেসাবুক পেইজ লাইক দিয়ে এই পোষ্ট ও ভিডিও শেয়ার করে আবেদন করেন তাহলে আরও ১০০ টাকা মোট ২০০ টাকা বেতনের সাথে বোনাস পাবেন।
সকল বোনাস গুলো নেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাদের সাবস্ক্রাইব, লাইক, শেয়ার করার সকল স্ক্রিনশট জমা দিতে হবে তাহলেই বোনাসের প্রাপ্য হবেন।
আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আমাদের এই আর্টিকেলটি নিয়ে যদি আপনার কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আজ এখানেই শেষ করছি আরও একটি পোস্ট SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম জানতে পোস্টটি পড়ুন।