কিভাবে লিখবেন এসইও উপযোগী কন্টেন্ট | SEO Friendly Content Writing | কীভাবে কন্টেন্ট পাঠকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করবেন ?

 কিওয়ার্ড (Keyword) কী? 


বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে (যেমনঃ Google, Being, Facebook, Linkdin) ইত্যাদি এই ওয়েব পেইজ গুলোতে কোন ব্যাক্তি বা ভিজিটর যে Word বা শব্দ গুলো লিখে সার্চ দেন, সেই ওয়ার্ডগুলোকেই কিওয়ার্ড (Keyword) বলে। 


যেমনঃ How to make Money, Create a Professional Website

How to write SEO useful content, এসইও কন্টেন্ট রাইটিং, অন পেজ এসইও, এসইও কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে চাই, এসইও (SEO) গাইড, Content Writing in SEO, এসইও (SEO) কি, আর্টিকেল রাইটিং, কিভাবে লিখবেন, Content Writing, SEO content, seo content writing, seo content writing samples, SEO Content Writing, On Page SEO, Want to learn SEO content writing, SEO Guide, Content Writing in SEO, What is SEO, article writing, how to write,



 কিভাবে লিখবেন এসইও উপযোগী কন্টেন্ট?


১.  একুরেট কিওয়ার্ড যুক্ত টাইটেল 

২. মেইন পয়েন্ট গুলোতে হেডিং এর ব্যবহার

৩. হেডিং গুলোতে যথাযথ কিওয়ার্ড এর ব্যবহার 

৪. লিখাটি একেবারে ছোট না করা, মিনিমাম ৬০০ শব্দ ব্যবহার করা 

৫. কি-ওয়ার্ড ডেনসিটি ২- ৩% এর মধ্যে হওয়া

*** এই অনুপাত বিবেচনায় ৬০০ ওয়ার্ড এর একটি আর্টিকেল কাঙ্ক্ষিত কি-ওয়ার্ড ৩-৮ বার উল্লেখ করা যেতে পারে -বাফারঅ্যাপ এর রিসার্চ মতে, ১৬০০ ওয়ার্ড হচ্ছে পারফেক্ট যা পড়তে ৭ মিনিট সময় লাগে

 

৬.শুধু সার্চ ইঞ্জিনে নয়, ভিজিটর যাতে বুঝতে পারে সেই ভাবে কন্টেন লিখা। ভিজিটরই আসল, ভিজিটরকেই প্রাধান্য দিতে হবে। 

৭. আঙ্কর ট্যাগ ব্যবহারের মাধ্যমে একটি পোষ্টের সাথে রিলেটিভ অন্যান্য ওয়েবসাইট বা অন্য একই   সাইটের অন্য পোস্ট লিংক করা।

৮. প্রতিটি ইমেজে অল্টার ট্যাগ ব্যবহার করা

৯. গুরুতবপূর্ণ জায়গা গুলো বোল্ড করতে পারেন

১০.সামারাইজ করা - সংক্ষেপে কিওয়ার্ড সমৃদ্ধ করে একটি প্যারা উল্লেখ করতে পারেন

১১. এছাড়াও অন্যান্য জায়গা গুলো সুবিধা অনুযায়ী হাইলাইট করা। 



কন্টেন্টটি কীভাবে পাঠকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করবেন ?

আপনাকে অবশ্যই এমন কিছু কারণ খুঁজে বের করতে হবে যেন পাঠক নিজেই আপনার কন্টেন্ট পড়তে আগ্রহী হয়ে উঠে । অনেক কিছু'ই লিখতে পারেন । প্রথমে মেইন পয়েন্ট গুলো সনাক্ত করুন কেন আপনি আর্টিকেল টি লিখবেন , কার জন্য লিখবেন ? ধরলাম আপনি নিজের জন্যই কন্টেন্ট লিখবেন ।এখন হয়তো ভাবছেন নিজে কে নিয়ে কি লিখবো । আমার মধ্যে ফিজিক্স , কেমিস্ট্রি কিছুই নেই । আপনাকে একটি কন্টেন্ট ই লিখতে হবে? কি নিয়ে লিখবেন তার কয়েকটি পয়েন্টগুলো আমি বলে দিচ্ছি।


• যে কাজ টি বর্তমানে লিখছেন তা নিয়ে লিখতে পারেন
• আপনার সফল হওয়ার সঠিক দিক গুলো তুলে ধরতে পারেন
• আপনি কারো ইন্টারভিউ নিয়ে লিখতে পারেন
• বাস্তব কিছু নিয়ে লি লিখতে পারেন
• এক্সপার্ট কিছু টিপস নিয়ে লিখতে পারেন
• যা নিয়ে কাজ পারেন তা নিয়ে যত কিছু লিখা যায় তাই লিখুন

এখন আসুন জানি পাঠক কেন আপনার কন্টেন্ট টি পড়বে । আপনি নিজেই চিন্তা করুন আমার কন্টেন্ট টি আপনি কে পড়ছেন । কারণ হতে পারে নুতুন কিছু জানার আগ্রহ , শিক্ষার আগ্রহ । কিন্তু প্রথম কয়েক লাইন পড়ে ই পাঠক ভাবছে এ আবার নুতুন কি আগে ই জানতাম । দূর কি আজে বাজে যত তত কথা লিখছে । না আর পরব না । কিন্তু আপনি যদি গুছিয়ে সুন্দর করে লিখেন তবে নুতুন নুতুন টপিক নিয়ে চমৎকার সব বাক্য দিয়ে কন্টেন্ট টি লিখে থাকেন তবে কি না পড়ে পালিয়ে যেতে পারবে । কখনও পাঠক'কে বোরিং করবেন না। সবসময় পাঠক মজা দেওয়ার চেষ্ঠা করবেন । একটানা শুধু লিখেই যাবেন আর পাঠক পড়েই যাবে তা কিন্তু কখনই হবে না ।


কি ভাবে পাঠকের মন জয় করবেন তা আপনারা অনেক ভাল জানেন তবু আমি উদাহরন দিতে পারি । ধরেন, আপনি একজন কে প্রাইভেট পড়ান । তা আপনি কি তাঁকে শুধুই পড়াবেন । পড়ায় গেলেন পড়ায় গেলেন কিন্তু সে কিছুই বুঝবে না । তাঁকে বোরিং না করে গল্প করুন সুন্দর সুন্দর উদাহরণ দিন আর পড়ান দেখবেন সে আপনাকে আর ছাড়বেই না । কারণ পড়াগুলো ছন্দে ছন্দে হয়ে গেছে । সবাই কিন্তু তা পারে না। অন্তত আমি মজা করে কথা বলতে পারি না ।আপনারা পারবেন । বিষয় তা হয়তো পরিষ্কার হয়েছে । তবু না বুঝলে আমাকে জানাতে পারেন । আমি কিছু দিন হল ক্রিয়েটিভ আইটির প্রোজেক্ট ম্যানেজার এমডি ইকরাম ভাইয়ার একটি পেজ এ কিছু কন্টেন্ট লিখছি আমি তা দেখতে পারেন । তারপরও আমি আছি আপনাদের সেবায় ।



যখন কন্টেন্ট লিখবেন তখন লেখাটিকে সবসময় চেষ্টা করুন সবার থেকে ভিন্ন কিছু এবং অনেক তথ্যসমৃদ্ধ কিছু উপস্থাপন করার। সেজন্য সেই টপিকসের উপর অনলাইনে থাকা অন্য লেখাগুলো আগে পড়ুন। সেজন্য গুগল, ইয়াহু, ওইকিপিডিয়া সার্চ করুন, তারপর প্রাপ্ত লেখাগুলো প্রথমে পড়ে নিন। এতে যে ব্যপারটি নিয়ে লিখছেন সেটির ব্যপারে আপনারও অনেক জ্ঞান বাড়বে। লেখাতে কাউকে আঘাত করে কিছু লিখবেননা, বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছু'ই লিখা যাবে না ।



যেকোন লেখাতে ঢুকার পর প্রথমেই চোখের প্রশান্তি জরুরী । চোখ যদি দেখেই বোরিং হয়ে যায় তাহলে ব্রেন না পড়ার সিদ্ধান্ত নিবে। আর চোখ সবসময় সুন্দর জিনিস খুজে। সেজন্য লেখার সময় কয়েকটি বিষয় আপনাকে মনে রাখতে হবে সবসময়। পয়েন্ট পয়েন্ট করে সব লিখা যেন পড়তে সুবিধা বোধ করে মানুষ । চোখ সুন্দর জিনিস খুঁজে তাই লেখার মধ্যে আকর্ষণীয় ছবি ব্যবহার করলে পাঠকের ব্রেন পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করে ।


গুগল উপযোগী এবং ভালমানের লেখা যে বিষয়ের  উপর নির্ভর করে ?

প্রফেশনার রাইটাররা লেখার আগে যা লিখতে চান, সেটার মূল পয়েন্টগুলো গুছিয়ে নেয় । ভাল কোন লেখার খুবই কাযকরী একটি টিপস এটি। তারপর লেখার সময় শুধু এই পয়েন্টগুলোর বিস্তারিত লিখলেই একটি ভালমানের লেখা তৈরি হয়ে যায় । ওয়েবমার্কেটিং, সার্চ র‌্যাংকিং এবং কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের জন্য মৌলিক এবং ভাল মানের লেখা লিখার চেষ্টা করতে হবে । লিখা তো লিখলেন এখন গুগল উপযোগী হতে হবে তার জন্য আপনার করনীয় কাজ কন্টেন্ট কে সাজিয়ে তুলা ।



 আপনার  কনটেন্ট গুলোকে এমন ভাবে সাজান যেন দেখতেই মায়া লাগে । ঠিক যেমন করে আপনার প্রেমিকা/প্রেমিককে সাজালে ভাল লাগত ।  ভাল মানের লিখার জন্য আপনি কতটা দক্ষ ? আপনি কতটুকু জানেন? বানানগুলো কি ঠিক করেছেন? আপনি কি  সঠিক ও সুন্দর শব্দের ব্যবহার করতে জানেন ? লেখাটি সম্পর্কে আপনার জ্ঞান কতটুকু ? টপিকস সম্পর্কে গবেষণা ও প্রচুর জ্ঞান আছে কি আপনার ? আপনার লিখাটির ভাষা কি প্রানবঞ্জল । 



পাঠক কতটুকু সন্তুষ্ট আপনার লিখা পড়ে তা যদি আপনি নির্ধারণ করতে পারেন এবং সব বিষয় গুলো আপনি ঠিক ভাবে পারেন আপনি ভাল কন্টেন্ট রাইটার হতে পারবেন ই । অবশ্যই একটি কথা মাথায় রাখবেন কখনও কারো লিখা সম্পুন্ন কপি করবেন না । কারো লিখা থেকে ভাল কিছু পয়েন্ট থাকলে তা নোট করুন নিজের ভাষায় গুছিয়ে লিখুন । গুগল মামা সহজেই বুঝতে পারে । সর্বদা নিজে উনিক লিখা লিখতে চেষ্টা করুন ।


প্র্যাকটিস  করার কৌশল

যখন হাতে কোন কাজ না থাকবে, তখনই রিয়েল কাজের প্র্র্যাকটিস করুন। আপনি যে কাজ'গুলো করছেন বর্ণনা নিয়ে কন্টেন্ট লিখুন। লিখুন আর প্র্যাকটিস করুন কাজ গুলো , বিভিন্ন প্রতিযোগীতাতে অংশগ্রহন করুন, বিভিন্ন কমিউনিটিতে কিংবা ফোরামে কিংবা ব্লগে  লিখাগুলো জমা দিন।



অন্যের কন্টেন্ট অনুযায়ি কাজের আরও আপডেট করুন । প্র্যাকটিস আপনার কাজের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আরও বেশি সহযোগিতা করবে এবং আপনার কনফিডেন্টও বৃদ্ধি করবে অনেক। পুরোপুরি প্রফেশনাল হিসেবে কাজ শুরু করার জন্য প্রচুর কাজের প্র্যাকটিস করতে হবে। নতুন কাজ হিসেবে একটু পরিশ্রম হবে, সেটি হলেও করা সম্ভব বিশ্বাস আগে তৈরি করুন। সঙ্গে সঙ্গে লিখতে থাকুন নানা প্রযুক্তি'র নতুন সব কন্টেন্ট।



সর্বশেষে বলব  এ ধাপগুলো অনুসরণ করে লেখালেখি শুরু করুন। কমপক্ষে ৫টি আর্টিকেল বা কন্টেন্ট লেখুন। দেখবেন একদিন নিজেও প্রফেশনাল রাইটার হয়ে যেতে পারবেন। আর একজন প্রফেশনাল রাইটার হিসেবেও  প্রেস রিলিজ,  ব্লগ রাইটিং,  সেলসকপি রাইটিং এবং অন্য যেকোন জায়গাতে লেখালেখি করেও ভাল মানের আয় করতে পারবেন । সেই সাথে বোনাস হিসেবে পাবেন প্রচুর সুনাম ।


TAG:

এসইও কন্টেন্ট রাইটিং, অন পেজ এসইও, এসইও কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে চাই, এসইও (SEO) গাইড, Content Writing in SEO, এসইও (SEO) কি, আর্টিকেল রাইটিং, কিভাবে লিখবেন, Content Writing, SEO content, SEO content writing, SEO content writing samples, SEO Content Writing, On Page SEO, Want to learn SEO content writing, SEO Guide, Content Writing in SEO, What is SEO, article writing, how to write, types of SEO content


Next Post Previous Post