বন্ধুরা রোজকার মতো আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে চলে এসেছি। এই বিষয়টি অবশ্যই আপনাদের প্রত্যেকের জানা উচিত। আজকের আর্টিকেলে আমি যেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো তা হলো Liver patients food. অর্থাৎ একজন লিভার রোগী কোন কোন খাবার খাবে। এর সাথে আমি আরও আলোচনা করেছি Bad food for liver patients নিয়ে। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। তো শেষ পর্যন্ত আমার সাথেই থাকুন।
Liver patient food
দীর্ঘসময় যাবত অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় পান করার ফলে অনেকসময় মানুষ লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। আবার কখনো কখনো নানান অসুখবিসুখের কারণেও মানুষ লিভারের সিরোসিসে আক্রান্ত হয়। আমরা সকলেই জানি সিরোসিসে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা গ্রহণের পরও কখনো আগের অবস্থানে যেতে পারে না। ফলে লিভার তার স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে ব্যাহত হয়।
লিভারের রোগীদের জন প্রায় সকল ডাক্তারই খাবারের সচেতনতার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কেউ যদি লিভারের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চায় বা তা নিজ কন্ট্রোলের মধ্যে আনতে চায় তবে তাকে অবশ্যই খাদ্যাভাসের পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে।
আমরা যদি চেষ্টা করি তবে কোনোরকম ওষুধপত্র, নানান ঝামেলা এবং দৌড়াদৌড়ি ছুটাছুটি ব্যতীতও ঘরে বসে লিভারের সমস্যার সমাধান করতে পারবো। আর এই সম্পূর্ণ কাজটি একটি প্রক্রিয়ায় করতে হবে। সেটি হলো জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং খাদ্যাভাসের পরিবর্তন।
লিভার রোগীর খাদ্য তালিকা
শারীরিক সুস্থতা অর্জবের জন্য আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিজনিজ লিভারের যত্ন নেওয়া। আর এই যত্ন নেওয়াটা একরকম আবশ্যক বলে ধরে নেওয়া যায়। আমরা কমবেশি সকলেই জানি লিভারকে সঠিক এবং সুস্থভাবে কাজ করতে সহায়তা করে আমাদের দেহের ভেতর অবস্থানরত পুষ্টি উপাদানসমূহ। কিন্তু আমাদের শরীরে যখন প্রয়োজনের তুলনায় পুষ্টির চাহিদা কম থাকে তখন লিভারের মতো কঠিন সমস্যা দেখা দেয়।
আপনারা জানেন লিভারের সমস্যা দূর করার জন্য খাদ্যাভাসের পরিবর্তন নিয়ে আসা দরকার হলেও এই সমস্যাটি হওয়ার পেছনে আরো কিছু কারণ সমূহ রয়েছে। সেসব কারণগুলো নিম্নে আলোচনা করছি-
- দেরি করে ঘুমাতে যাওয়া।
- সকালে দেরি করে ঘুম থেকে উঠা।
- সকালবেলায় প্রস্রাব না করা।
- সকালে পানি পান না করা।
- কম পানি পান করা।
- সকালে নাস্তা না করা।
- ভাজাপোড়া জাতীয় খাদ্য অধিক পরিমাণে গ্রহণ করা।
- অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকা।
উল্লেখিত কারণগুলোর বাহিরেও অধিক কারণ থাকলেও এই কারণগুলোকে অধিক পরিমাণে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন লিভারে আক্রান্ত রোগীদের খাবার গ্রহণে সবচেয়ে বেশি সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
দেখা যায় এমন অনেক পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার আছে যেসব খাবার আমাদের লিভারে প্রভাব ফেলে। ফলে লিভারের প্রদাহ বেড়ে যায় এবং সমস্যা আরো গুরুতর পর্যায়ে চলে যায়। তাহলে চলুন আজ আমি আপনাদের লিভার রোগীদের খাদ্য তালিকা সম্পর্কে জানাবো। শেষপর্যন্ত আমার সাথেই থাকুন এবং মনোযোগ দিয়ে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।
লিভারের সিরোসিসের জন্য কোন খাবার ভালো? What foods are good for liver cirrhosis?
আরো পড়ুন:
১৮ টি উপায় প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার
অ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থ সহ
লিভার সিরোসিস রোগীদের খাদ্য তালিকা-
যেহেতু আমরা জানি খাদ্যাভাসের উপর লিভারের সুস্থতা অনেকাংশই নির্ভর করে সেহেতু একজন লিভার রোগীর অবশ্যই খাদ্য গ্রহণে সচেতন থাকা প্রয়োজন এবং নিম্নে উল্লেখিত খাদ্যগুলো নিজের খাদ্য তালিকায় রাখা দরকার। 21 food that's are good for liver patients.
- ফল এবং শাকসবজি।
- ডিমের সাদা অংশ।
- রান্না করা মাছ।
- মুরগি।
- দই।
- বাদাম।
- শুকনো মটরশুঁটি।
- সিমের পাতা।
- ওটস।
- জলপাই তেল।
- ভাত।
- অল্প চর্বিযুক্ত গরুর দুধ।
- আদা।
- কচি ডাবের পানি।
- গ্রীন টি।
- হলুদ।
- লেবু।
- আপেল।
- অলিভ অয়েল।
- গাজর।
- ব্রকলি।
- জাম্বুরা।
- টমেটো।
What food shoud liver patients avoid?
আরো পড়ুন:
১৮ টি উপায় প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার
অ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থ সহ
লিভারের সুস্থতার জন্য নিষিদ্ধ খাবার-
লিভারের সুস্থতার জন্য ভালো খাবার গ্রহণের পাশাপাশি বেশ কিছু কাবার রয়েছে যেগুলো রোগীর জন্য বিপদজনক। তাই আমাদের উক্ত বিষয়ে অবগত হওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে যে খাদ্যটি একেবারেই নিষিদ্ধ সেরা হলো বিভিন্ন প্রকার পানীয় বা অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়। সেটা হতে পারে কোল্ড ড্রিংকস, কোকাকোলা বা পেপসি। এর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি খাবার রয়েছে যেগুলো লিভারের সুস্থতার জন্য পরিত্যাগ করা জরুরি। নিম্নে খাবারগুলো নাম বর্ণনা করা হলো-
- বার্গার।
- ফ্রেঞ্জ ফ্রাই।
- চিনিযুক্ত খাবার।
- প্যাকেট জাত স্ন্যাক।
- চর্বিযুক্ত খাবার।
লিভার রোগীর খাদ্য তালিকায় কি পরিমাণ খাবার রাখা উচিত?
বন্ধুরা ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি একজন লিভার রোগীর খাদ্য তালিকা কোন কোন খাবার রাখা প্রয়োজন আর কোন কোন খাবার একেবারেই নিষিদ্ধ। এবার আমি আপনাদের জানাবো একজন লিভার রোগীর কি পরিমাণ বা কতটুকু খাবার খেতে পারবে।
আপনি যদি আপনার লিভারকে সুস্থ রাখতে চান তবে আপনার দৈনন্দিন খাদ্য চাহিদার ৬০ থেকে ৭০ ভাগ কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার আপনাকে গ্রহণ করতে হবে। তারমধ্যে রয়েছে হোলগ্রেইন জাতীয় খাবার। যেমন- ভাত এবং পাস্তা রাখতে পারবেন।
আরো পড়ুন:
১৮ টি উপায় প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার
অ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থ সহ
সেই সাথে আপনাকে ২০ থেকে ৩০ ভাগ প্রোটিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। এর মধ্যে থাকবে সবজির প্রোটিন এবং প্রাণীজ লিন প্রোটিন। সেই সাথে রয়েছে ১০ থেকে ২০ ভাগ ফ্যাট জাতীয় খাদ্য এবং সারাদিনে ৮ থেকে ১২ গ্লাস পানি। পাশাপাশি ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলেও আপনি আপনার লিভারকে সুস্থ রাখতে সক্ষম হবেন। আর অবশ্যই আপনাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার খেতে হবে। চা কিংবা কফি সারাদিনে দুই বারের বেশি খাওয়া যাবে না। কেননা চা এবং কফি যেমনি আমাদের শরীরের জন্য উপকারী তেমনি আমাদের লিভারের জন্য ক্ষতিকর। তবে পরিমাণ মতো খেলে ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমাদের আজকের লিভার রোগীর খাদ্য তালিকা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্ব। আশা করছি আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এরকম আরো বিষয় জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন। এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ।
Post a Comment