বর্তমান যুগের একটি বিস্ময়কর আবিষ্কার হলো কম্পিউটার। তাই বর্তমান যুগকে কম্পিউটারের যুগ বলা হয়। কম্পিউটার হলো আধুনিক প্রযুক্তি যা অধিকাংশ স্থানে ব্যবহৃত হয়। এটি কোন সময় নিয়ে সর্বাধিক কাজ সম্ভব করে তোলে। এটি কর্মস্থলে ব্যক্তির শ্রম হ্রাস করে অর্থাৎ কম সময়ে এবং কম শ্রমশক্তির উচ্চস্তরের ফলাফল প্রদান করে। আধুনিক যুগে কম্পিউটার ছাড়া জীবন কল্পনা করা যায় না

সূচি তালিকাঃ১। ভূমিকা২। কম্পিউটার কী?৩। কম্পিউটার তৈরির ইতিহাস৪। কম্পিউটারের সংজ্ঞা৫। কম্পিউটারের ফাংশন৬। কম্পিউটারের প্রকারভেদ৭। কম্পিউটারের ব্যবহার৮। কম্পিউটার ব্যবহারে জীবন সহজ৯। বেকারত্ব হ্রাসে কম্পিউটার১০। কম্পিউটারের অপব্যবহার১১। উপসংহার
ভূমিকা
কম্পিউটার সমগ্র মানবজাতির জন্য বিজ্ঞানের একটি অন্যান্য এবং নির্দেশক উপহার। কম্পিউটার দ্বারা যে কোন কাজ করা সম্ভব মুহূর্তের মধ্যে। কম্পিউটার আধুনিক প্রযুক্তির একটি দুর্দান্ত আবিষ্কার। এটি একটি সাধারণ মেসেঞ্জার মেমোরিকে অনেক তথ্য সংরক্ষণ করার ক্ষমতা রয়েছে। এটা স্বাচ্ছন্দ এবং দক্ষতার কারণে এটি বহুল ব্যবহৃত হয় যেমন অফিস, ব্যাংক, হোটেল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় শিল্প প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।
কম্পিউটার কি ?
কম্পিউটার কি তা আমরা সবাই জানি। কম্পিউটার হল একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র যা বৈদ্যুতিক প্রবাহের মাধ্যমে যৌক্তিক কার্যাবলী সম্পাদন করে থাকে। কম্পিউটার শব্দটি ল্যাটিন শব্দ কম্পিউট (Compute)থেকে এসেছে। কম্পিউটারে আভিধানিক অর্থ গণনা করা। তাই কম্পিউটারকে গণনাকারী যন্ত্র বলা হয়। কিন্তু আজকাল কম্পিউটার দিয়ে শুধু গণনা নয় বরং বিশ্বের সকল কাজ করা সম্ভব হয়
কম্পিউটার তৈরির ইতিহাস
কে তৈরি করল এই কম্পিউটার? এই প্রশ্নের উত্তর সবার আগে যার নাম আসেন তিনি হলেন চার্লস ব্যাবেজ। চার্লস ব্যাবেজ হলেন আধুনিক কম্পিউটারের জনক। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে গ্রীক সভ্যতায় "অ্যাবাকাস"নামে এক ধরনের গণনা যন্ত্র আবিষ্কৃত হয়েছিল। এরপর ১৬৬২সালে ১৯ বছর বয়সি নারী সর্বপ্রথম ক্যালকুলেটর বা যন্ত্র গণক আবিষ্কার করেন। কম্পিউটার বিজ্ঞানের সত্তিকারের সূচনা হয় অ্যালান টুরিং এ প্রথম তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক গবেষণার মধ্য দিয়ে। এরপর ১৮৩৩ সালে কম্পিউটার তৈরির ইতিহাস এর সূত্রপাত হয়।
কম্পিউটারের সংজ্ঞা
কম্পিউটার হল একটি বিস্ময়কর আবিষ্কার । কম্পিউটার একটি যান্ত্রিক মেশিন যার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের গাণিতিক সূত্র এবং বিভিন্ন কাজ করা হয়। কম্পিউটার দ্বারা যে কোনো কাজ খুব সহজেই করা সম্ভব। তাই বর্তমান যুগকে কম্পিউটার যুগ বলা হয়। একটি কম্পিউটার একটি রূপক, সমন্বয় মূলক যোগফল এর একটি যান্ত্রিক কাঠামোগত সংমিশ্রণ দ্রুতগতিতে সবচেয়ে কম সময়ে বেশি কাজ করতে পারে।
কম্পিউটারের ফাংশন
কম্পিউটারের সাহায্যে অনেকগুলো জটিল কাজ করা যায় তবে এর মূল কাজটি হলো তথ্য সংরক্ষণ এবং তথ্য ভাগ করে নেয়া।
এটি কম সময়ে এবং নির্ভুল ভাবে কাজ করে। এটি কর্মস্থল ব্যক্তির শ্রমশক্তি হ্রাস করে এবং উচ্চস্তরের ফলাফল সরবরাহ করে।
কম্পিউটারের প্রকারভেদ কম্পিউটার কে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
★ এনালগ কম্পিউটার
★ডিজিটাল কম্পিউটার
★ হাইব্রিড কম্পিউটার
আবার দাম, ব্যবহার ও আকারের ওপর ভিত্তি করে ডিজিটাল কম্পিউটার কে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
যেমনঃ
★ সুপার কম্পিউটার
★ মিনি কম্পিউটার
★ মেইনফ্রেম কম্পিউটার
★ মাইক্রো কম্পিউটার
তবে মাইক্রো কম্পিউটার কি আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
★ডেক্সটপ ★ল্যাপটপ
কম্পিউটারের ব্যবহার
কর্মক্ষেত্র শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য কম্পিউটার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রাচীনকালে আমরা সব কাজ হাত দিয়ে করতাম কিন্তু সেসব কাজ ব্যবহারে কম্পিউটারের ভূমিকা ব্যাপক। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি নিচে কতগুলো দিক তুলে ধরা হলোঃ
★শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটারঃ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কম্পিউটারের অবদান বর্ণনা করতে গেলে শুরুতেই শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহার এর অপরিহার্য। কারণ শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার ব্যাপক। বর্তমানে কম্পিউটারের মাধ্যমে বিশ্বের অনেক দেশে শিক্ষাদান করা হচ্ছে কম্পিউটার এর ফলে অনলাইনে ক্লাস রুম, ডিজিটাল ক্লাসরুম করানো হয়। এছাড় বিভিন্নভাবে কম্পিউটার অর্থায়নেও সাহায্য করে থাকে।
★যোগাযোগের ক্ষেত্রে কম্পিউটারঃ কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে যোগাযোগ পদ্ধতি হয়েছে এখন খুব সহজ। কম্পিউটারের মূল প্রাণ হচ্ছে ইন্টারনেট। এর ফলে দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মানুষের সাথে অতি সহজে যোগাযোগ করা সহজ হচ্ছে। সনাতন যুগে যোগাযোগের জন্য অনেক দিন ধৈর্য ধরে থাকতে হতো যেমন চিঠি লিখে চিঠি পৌঁছানোর জন্য সেটা স্ট্যাম্প বক্সের পাঠানো হতো এবং তার উত্তরের আশায় বসে থাকতে হত যেটা এখন কম্পিউটার মাধ্যমে খুব দ্রুতই আমরা করতে পারছি। যেমনঃ মেইল, চিঠি প্রাপকের কাছে আমরা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পৌঁছে দিতে পারছি।
আরো পড়ুন:
কিভাবে ব্লগ শুরু করবেন সহজ গাইড
★চিকিৎসা ক্ষেত্রে কম্পিউটারঃ সনাতন চিকিৎসা পদ্ধতিতে অনেক রোগ নিরাময় করা সম্ভব হতো না। কিন্তু আধুনিক পদ্ধতিতে এখন প্রায় সব রোগের নির্ণয়ের মাধ্যম হিসেবে কম্পিউটারকে ব্যবহার করা হয়। কম্পিউটার পারেনা এমন কোন কাজ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কম্পিউটারের ব্যবহারের মাধ্যমে এখন সকল রোগ নিরাময় করা সম্ভব। এমনকি বড় বড় অস্ত্র পাচারের মত কাজ আজকাল কম্পিউটারের মাধ্যমে করা সম্ভব হচ্ছে। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ আগের থেকে সহজ হয়েছে তেমন এর প্রতিকার এর অবপদান ও রাখছে কম্পিউটার
কম্পিউটার ব্যবহারে জীবন সহজ
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কম্পিউটার গুলি আরও কার্যকর হবে এবং কার্যকরী ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এটি আমাদের সকলের জীবনকে সহজ করেছে। এর মাধ্যমে আমরা সহজেই কিছু শিখতে পারি এবং আমাদের ক্ষমতার উন্নতি করতে পারি। আমরা যেকোন সেবা পণ্য বা অন্যান্য জিনিস সম্পর্কে তথ্য এক মিনিটে পেয়ে থাকি কম্পিউটার মাধ্যমে। এর ফলে আমাদের সময়ের অপচয় খুব কম হয়। এটি আমাদের স্কুলের প্রকল্প অনেক সাহায্য করে।
বেকারত্ব হ্রাসে কম্পিউটার
বর্তমান যুগে বেকার সমস্যা একটি পরিচিত মুখ। তবে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে তা কিছুটা লাঘব হয়েছে। বর্তমান যুগে ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে মানুষ ঘরে বসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারছে। ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে বিদেশি টাকা উপার্জন করতে পারছে। কম্পিউটার কাজ করাকে সহজ মনে করে। আসলে কম্পিউটার আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে পরিণত হয়েছে।
কম্পিউটারের অপব্যবহার
কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি অনেক বড় বিস্ময়কর আবিষ্কার তা নিঃসন্দেহে আমরা বলতে পারি। সকল ভাল জিনিসের যেমন ভাল দিক রয়েছে তেমন কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। যে কোন কিছুর অপব্যবহার যেকোনো ভালো জিনিসকে মানুষের জন্য করে দিতে পারে মানুষের জন্য অভিশাপ। যেমন কম্পিউটারের অপব্যবহারের কারণে বাড়ছে সাইবার অপরাধ ও হ্যাকিংয়ের মত অনেক বড় বড় অপরাধ। একটানা কম্পিউটারের সামনে বসে থাকার কারনে পিঠে ব্যাথা, চোখব্যাথা সহ আরো অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এছাড়া কম্পিউটার অধিক ব্যবহারের কারনে বাড়ছে চাদাবাজি, সন্ত্রাসী ব্লেকমেইল এর মত অনেক বড় বড় অপরাধ।
মানব জীবনের বড় একটি আর্শিবাদ হলো কম্পিউটার। কার কম্পিউটার আমাদের জীবনকে করে দিয়েছে সহজ। কম্পিউটার ছাড়া আমরা আমাদের জীবনের এখন এক মুহূর্ত চিন্তা করতে পারিনা। আজকের সময়ে কম্পিউটারের ওপর মানবজাতির নির্ভরতা খুব দ্রুত বাড়ছে।
উপসংহার
তৃতীয় বিশ্বের মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আজ বহুমুখী উৎকর্ষ সাধন খুবই জুরুরি আর সেই সাধন সম্ভব হয়েছে কম্পিউটার নামক যন্ত্রের মাধ্যমে। এই যন্ত্রের অস্তিত্ব না থাকলে মানুষের জীবনযাত্রা জটিল ও মন্থর হয়ে পড়তো।
তাই বলা যায়, কম্পিউটার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অঙ্গ হিসেবে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
নতুনদের জন্য CPA মার্কেটিং | সিপিএ মার্কেটিং এর কৌশল
কিভাবে লিখবেন এসইও উপযোগী কন্টেন্ট
আমরা এখানে কম্পিউটার রচনা - (Computer Eassy in Bengali) ভাগ করেছি। আশা করছি আমাদের আর্টিকেলটি আপনারা উপভোগ করছেন। এবং এই আর্টিকেলটি আপনাদের পছন্দ হয়েছে কি না বা আরো কোন মন্তব্য আমাদের জানানোর থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে আমাদের জানাবেন।
Post a Comment