হ্যালো বন্ধুরা! আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেটি আমাদের সকলের জানা প্রয়োজন। আমরা আমাদের ত্বক নিয়ে খুবই সতর্ক। কি করলে আমাদের ত্বক আরেকটু সুন্দর হবে? কোন জিনিসটি ইউজ করলে আমাদের ত্বকে কোনোরকম সমস্যা হবে না এসব নিয়েও আমরা বেশ চিন্তায় ভোগী। আবার অনেকসময় আমরা বাজারের বিভিন্ন কসমেটিকস ব্যবহার করতে গিয়ে নিজেদের আসল সৌন্দর্যকে হারাতে বসি।

ফরসা পদ্ধতি, প্রাকৃতিকভাবে ফরসা পদ্ধতি, স্থায়ী ফরসা উপায়, লেবু দিয়ে ফার্সা পদ্ধতি, শাসা দিয়ে ফরসা পদ্ধতি উপায়, রাতারাতি ফরসা পদ্ধতি উপায়, আলু দিয়ে ফরসা পদ্ধতি, অ্যালোভেরা দিয়ে ফার্সা পদ্ধতি, ৩ আবহাওয়া ফরসা পদ্ধতি, fair method, naturally fairing method, permanent fair way, farsa method with lemon, The fair way with Shasa, overnight fairing method way, fair method with potatoes, Farsa method with aloe vera, 3 Weather Fair Method,

ত্বক খুবই সেনসেটিভ একটি জায়গা। আমাদের ত্বকের চামড়া অতিরিক্ত পরিমাণে পাতলা হওয়ায় তা সবকিছু সহ্য করতে পারে না। ফলে আমরা সুন্দর হতে চেয়ে নিজেদের ত্বককে নষ্ট করে ফেলি।



আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি এমন কিছু টিপস যা কোনোরকম সাইড ইফেক্ট ছাড়াই আপনার ত্বককে উজ্জ্বলতা দিবে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, ত্বককে মোলায়েম, ত্বকের কালচে এবং লালচে দাগ দূর করা সহ ত্বকের সমস্ত প্রবলেম দূরীকরণে এই টিপসগুলো আপনাদের সহায়তা করবে।



আজকের আর্টিকেলে আপনারা জানবেন এমন কিছু গোপন টিপস যা দিয়ে আপনারা খুব সহজেই আকর্ষণীয় ত্বকের অধিকারী হতে পারেন। এই টিপসগুলো জানতে অবশ্যই আমার পুরো আর্টিকেলটি আপনাদের মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। শেষ পর্যন্ত আমার সাথেই থাকুন।




নারীরা যুগ যুগ ধরে নানানভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য নিজেদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বর্তমান সময়ে নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও চেষ্টার কোনো কমতি রাখে না। কে না চায় তার গায়ের রং ধবধবে ফর্সা হোক? লোকের অন্য কোনো চাহিদা না থাকে এটা ঠিকই রয়েছে। আপনারা যারা ভাবছেন কেবল ক্যামিকেল দিয়েই গায়ের রং ধবধবে ফর্সা করা সম্ভব তারা ভুল ভাবছেন।



একটা বিষয় অনেকেই জানেনা যে প্রাকৃতিক ভাবেও নিজের ত্বকের লাবণ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। অনেকসময় দেখা যায় ক্যামিকেল ব্যবহার করে ফর্সা হওয়ার চেষ্টা করলে আপনাদের ত্বকে নানান সমস্যা দেখা দেয়। মুখে দাগ হয়ে যাওয়া লালচে কিংবা কালচে ভাব, মুখে জ্বালা করা আরো কত সমস্যা। আজকের এই আর্টিকেলটি সেই বিষয়গুলোকে নিয়েই। আশা করছি শেষপর্যন্ত আমার সাথেই থাকবেন।



প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়



লেবু দিয়ে রূপচর্চা-


মুখের কালো দাগ দূর করার জন্য লেবুর গুরুত্ব অনেক৷ লেবুতে থাকে সাইট্রিক এসিড যা আমাদের মুখের কালো দাগ দূর করতে সহায়তা করে। আপনি আপনার মুখের কালো দাগ দূর জরার জন্য লেবু ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে একটি লেবুকে দুই ভাগ করে নিতে পারেন। এরপর লেবুর রস নিয়ে হালকা করে আপনার মুখে লাগাতে পারেন। লেবুর রস ব্লিচিং এজেন্টের মতোই কাজ করে। আপনি প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হতে চাইলে অবশ্যই এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।


  আরো পড়ুন: 

লিভার রোগীর জন্য খাদ্য তালিকা
অ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থ সহ


আলু দিয়ে রূপচর্চা-


প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য আলু একটি কার্যকরী উপাদান। এটি ত্বককে ফর্সা এবং পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। প্রথম আলু নিয়ে তা ধুয়ে নিন। অতঃপর ব্লেন্ডারের সাহায্য আলুর রস বের করুন এবং আপনার মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ স্লাইড করতে থাকুন। এভাবে নিয়মিত কিছুদিন ব্যবহারের ফলে আপবার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।



টমেটো দিয়ে রূপচর্চা-


টমেটো হলো প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার একটি উপাদান। ত্বককে গোলাপি করার জন্য এটির কার্যকারিতা অনেক। আপনার ত্বকে যদি অনেকগুলো ছিদ্র ছিদ্র দাগ তাকে তবে টমেটো সেগুলো দূর করতে আপনাকে সাহায্য করবে এবং আপনাকে আরো উজ্জ্বলতা দিবে। আশা করছি আপনি উপকৃত হবেন।



লেবু এবং মধু দিয়ে রূপচর্চা-


প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপাদানসমূহের মধ্যে লেবু এবং মধু অন্যতম। লেবু আপনার মুখের দাগ দূর করতে সহায়তা করবে এবং মধু আপনার মুখকে কোমল এবং আরো আকর্ষণীয় করতে সাহায্য করবে। প্রথমে আপনি লেবুর রস এবং মধু নিয়ে একটি পাত্রে মিশিয়ে নিবেন। এরপর সেগুলো আপনার আঙুলে নিয়ে আলতো করে আপনার পুরো মুখে লাগিয়ে নিবেন। এরপর কিছুসময় রেখে দিবেন অতঃপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আশা করছি আপনি উপকৃত হবেন।



দারুচিনি এবং মধু দিয়ে রূপচর্চা-


প্রথমে সামান্য পরিমাণ দারুচিনি নিয়ে ভালোভাবে গুঁড়ো কটে নিন। এরপর এর সাথে এক চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর আপনার পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। এভাবে কিছুদিন লাগালে আপনি আপনার মুখের পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন। আমরা সকলেই জানি দারুচিনিতে রয়েছে ইনফ্রেমেটরি, এন্টিঅক্সিজেন এবং এন্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য সমূহ।



লেবু এবং শসা দিয়ে রূপচর্চা-


আপনার ত্বক যদি অধিক পরিমাণে তৈলাক্ত হয় তবে আপনি এই প্যাকটি ইউজ করে দেখতে পারেন। এই প্যাকটি আপনার ত্বককে হালকা করবে। পৃরথমে লেবুর রসের সাথে শসার রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর আপনার সমস্ত মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। আপনার তৈলাক্ত মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য এটি কার্যকর হবে।



দই দিয়ে রূপচর্চা-


ফর্সা ত্বক পাওয়ার জন্য দইয়ের কোনো বিকল্প নেই। দই আপনার ত্বককে ফর্সা করতে সহায়তা করবে। কিছু পরিমাণ টক দই নিয়ে আপনার মুখে লাগাতে থাকুন। এতে আপনি অনেক উপকারিতা পাবেন।


  আরো পড়ুন: 

লিভার রোগীর জন্য খাদ্য তালিকা
অ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থ সহ


নারিকেলের পানি দিয়ে রূপচর্চা-


ফর্সা হওয়ার জন্য অন্যতম একটি উপায় হলো নারিকেলের পানি। আপনার ত্বককে যদি উজ্জ্বল এবং ধবধবে ফর্সা করতে চান তবে নারিকেলের পানি ব্যবহার করতে পারেন। নারিকেলের পানি আপনার মুখের কালো দাগ দূর করতেও সাহায্য করবে। আপনি এই প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করতে পারেন।



বাদাম তেল দিয়ে রূপচর্চা-


আপনি যদি ফর্সা এবং নরম ত্বক পেতে চান তবে এর জন্য বাদাম তেলের কোনো বিকল্প নেই বলে আমি মনে করি। আপনি বাদাম তেল মুখে মালিশ করে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারেন। আপনি যদি তাড়াতাড়ি ভালো ফলাফল পেতে চান তবে এর সাথে জাফরান ব্যবহার করতে পারেন। আশা করছি আপনি খুব উপকার পাবেন।



গুঁড়ো দুধ, লেবু এবং তেল দিয়ে রূপচর্চা-


এক চামচ পরিমাণ গুঁড়ো দুধ এবং এক চামচ লেবুর রস এবং এক চামচ বাদাম তেল একত্রে মিশিয়ে নিতে পারেন। এরপর এটি আপনার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিন। এরপর সেটাকে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি খুব তাড়াতাড়ি ফর্সা হতে পারবেন।



মধু এবং শসা দিয়ে রূপচর্চা- 


আপনি যদি আপনার শুকনো ত্বককে ফর্সা করতে চান তবে মধু এবং শসা ব্যবহার করতে পারেন। মধু এবং শসার মিশ্রণ আপনার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এরপর কিছু সময় রেখে দিন যাতে সেটা আপনার ত্বক ভালোভাবে গ্রহণ করে নিতে পারে। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনি খুব ভালো উপকার পাবেন।



জলপাই তেল দিয়ে রূপচর্চা-


আপনি যাি ফর্সা হতে চান তবে জলপাই তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার মুখের উজ্জ্বলতা খুব দ্রুত বৃদ্ধি করবে। প্রথমে কিছু পরিমাণ জলপাই তেল আপনার হাতে নিয়ে তা আপনার মুখে ভালোভাবে ম্যাসাজ করেন৷ এরপর কিছু সময় রেখে তা ধুয়ে ফেলুন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করা চেষ্টা করবেন।



হলুদ দিয়ে রূপচর্চা-


আপনি যদি আপনার ত্বককে সুন্দর এবং মোলায়েম করতে চান তবে অবশ্যই হলুদ ব্যবহার করে দেখতে পারেন।এটি যেমন আপনাকে উজ্জ্বলতা দিবে তেমনি আপনার ত্বককে নরম হতে সহায়তা করবে। এক চামচ পরিমাণ হলুদ বা হলুদ গুঁড়ো নিন এবং তার সাথে দুই চামচ পরিমাণ লেবুর রস নিন। এটি মিশিয়ে নিয়ে আপনার মুখে লাগিয়ে নিন। এরপর তা আপনার ত্বকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে আপনার ত্বককে ধুয়ে ফেলুন। হলুদের মধ্যে থাকা উপাদান অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি কাজ করতে সাহায্য করে। হলুদ আপনার ত্বককে খুব দ্রুত ফর্সা করতে সাহায্য করবে।



পেঁপে দিয়ে রূপচর্চা-


একটুকরো পাকা পেঁপে নিয়ে তা ভালো করে বেটে নিন। এরপর তাতে মধু ও মধুর রস দিয়ে তা ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই প্যাকটি আপনার মুখে, গলায়, ঘাড়ে এবং হাতে-পায়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট রেখে তা সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পেঁপের এই প্যাকটি সরাসরি আপনার ত্বককে ফর্সা করতে সাহায্য করবে। 


চালের গুঁড়া এবং মধু দিয়ে রূপচর্চা-


প্রথমে আপনি একটি পরিষ্কার পাত্র নিবেন এবং তাতে পরিমাণ মতো চালের গুঁড়া নিবেন। প্রথমেই বলে রাখি চালের গুঁড়া আমাদের ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এই চালের গুঁড়ার সাথে আপনি পরিমাণ মতো মধু মিক্স করে নিবেন। মধু আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। এই দুটো উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে আপনি আপনার ত্বকে লাগাবেন। ত্বকে লাগানোর পর ২০ মিনিট রেখে আপনি এটি ধুয়ে ফেলবেন৷ এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করার পর আপনি ফলাফল দেখতে পাবেন।


মসুরের ডাল দিয়ে রূপচর্চা-


মসুরের ডালের গুনাগুন আমরা সকলেই কমবেশি জানি। এটি স্বল্প সময়ে আমাদের ত্বককে করে তুলতে পারে ধবধবে ফর্সা এবং দাগহীন। প্রথমে আপনি একটি পাত্রে কিছু মসুর নিয়ে তা তিন ঘন্টার মতো পানিতে মিশিয়ে রাখুন। তিন ঘন্টা পর আপনি মসুর গুলো ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ডকৃত মসুরের সাথে আপনি খানিকটা মধু এবং কাঁচা দুধ মিশিয়ে আপনার ত্বকে ব্যবহার করুন। মসুরের ডাল খুব সহজেই আপনার ত্বককে করবে ধবধবে ফর্সা।

  আরো পড়ুন: 

লিভার রোগীর জন্য খাদ্য তালিকা
অ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থ সহ


উপরোক্ত প্যাকগুলো যদি আপনি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন তবে অনেক উপকার পাবেন। প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ত্বকে ব্যবহারের ফলে কোনো সাইড ইফেক্ট হবে না। তাই নিশ্চিন্তে আপনারা এগুলো ইউজ করে দেখতে পাবেন। আশা করছি অনেক উপকারিতা পাবেন। আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাবেন। এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ। এরকম নতুন নতুন বিষয় জানতে নিয়মিত আমাদের আজকের ব্লগ ডটকম ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ।


Post a Comment

Previous Post Next Post